স্মার্টফোনের নিরাপত্তার প্রশ্নে অ্যাপলের আইফোন বরাবরই বেশ
নির্ভরযোগ্য। তবে আইফোন যে শতভাগ নিরাপদ, এমনটা কিন্তু কখনোই দাবি করেনি এর নির্মতা।
ব্যবহারকারীর সাবধানতার খানিকটা কমতি হলেই সাইবার অপরাধীরা একটু সময় ব্যয় করে হাতিয়ে
নিতে পারে আইফোনে রাখা ব্যক্তিগত ও অন্যান্য তথ্য। তাই পাসওয়ার্ড কিংবা বায়োমেট্রিক
নিরাপত্তার পাশাপাশি সহজেই আইফোনে আরও বাড়তি কিছু নিরাপত্তা জুড়ে দিতে পারেন। তা হচ্ছে-
লকস্ক্রিনের অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখুন
আইফোনে বেশ শক্তপোক্ত একটা পাকোড ব্যবহার করেই এর নিরাপত্তা
জোরদার হয়ে গেছে ভাবলে ভুল করছেন। যদি না ফোনটি লক থাকা অবস্থাতেই সেটিতে অনুপ্রবেশ
রোধ করা না যায়। আইফোন লক থাকার সময় খুদে বার্তা বা ই-মেইলের উত্তর দেয়া ছাড়াও আরও
বেশ কিছু সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এই সুবিধা নিতে গিয়ে অনেকে ফোনের নিরাপত্তা দুর্বল
করে তুলছেন। তাই লকস্ক্রিন থেকেই নোটিফিকেশন বা কোনো বার্তা খোলা থেকে বিরত থাকুন।
লকস্ক্রিন সিরি বন্ধ রাখুন
আইফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভার্চুয়াল সহকারী সিরির ব্যবহার
দিন দিন বাড়ছেই। লক বা আনলোক দুই অবস্থাতেই সিরি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এমনকি এখন
শুধু ‘হাই সিরি’ বললেই চালু হয়ে যায় সিরি। তবে আইফোন লক থাকা অবস্থাই সিরিকে নিষ্ক্রিয়
রাখাই ভালো। কেননা, আইফোন লক থাকলেও যদি সিরি ব্যবহার করা যায়, তবে খুব সহজেই সিরির
কাছে থাকা আইফোনের অনেক তথ্যই জেনে নেওয়া যায়। তাই আইফোন লক থাকলে সিরি যেন কাজ না
করে সেটি নিশ্চিত করুন। লকস্ক্রিনে সিরি বন্ধ বা চালু করার অপশন আইফোনের সেটিংসে পাওয়া
যাবে।
অ্যাপকে কী অনুমতি দিচ্ছেন, খেয়াল রাখুন
স্মার্টফোনে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন অ্যাপ ইনস্টল করতে হয় কাজের
জন্যই। তবে আপনার আইফোনে সব অ্যাপকে ফোনের সব তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার দরকার নেই।
বিশেষত আপনার অবস্থান। আইফোনের সেটিংসে প্রাইভেসিতে গিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন, কোনো অ্যাপ
সেটির প্রয়োজনের বাইরে আইফোনের কোনো তথ্যে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে কিনা। স্মার্টফোনের
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর মাধ্যমে ফোনের নিরাপত্তা অনেকাংশেই জোরদার করা যায়।
এ ছাড়া অ্যাপলর অ্যাপ স্টোর থেকেও কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে দেখে নিন সেটি আসল কিনা।
দুই ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আজকাল প্রায়ই সব অনলাইনভিত্তিক সেবায় দুই ধাপের নিরাপত্তাব্যবস্থা
যোগ করা হয়েছে যাকে বলে টু-ফ্যক্টর অথেনটিকেশন। ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করার
পর পূর্বনিধারিত কোনো যন্ত্র বা মোবাইল নম্বরে আসা কোডের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়, এ
ধরনের নিরাপত্তা সংবলিত অনলাই সেবায়। আইফোনেও সেই সুবিধা রয়েছে, যা আপনার আইফোনের নিরাপত্তা
আরোও বাড়াবে। আইফোন সচল করতে যে অ্যাপল আইডির ব্যবহার করা হয় সেটিতে জুড়ে দিতে পারেন
এই টু-ফ্যক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা।
পাসকোড বা পাসওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ
নিরাপত্তার জন্য আইফোনের পাসকোড বা পাসওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ।
আইফোন টেনের ফেস আনলক পদ্ধতির সময়েও পাসকোড পদ্ধতি টিকে আছে। তবে দুর্বল পাসওয়ার্ড
ব্যবহার করা না করার মতোই। তাই আইফোনের নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহার করুন কঠিন সংখ্যা
ও অক্ষরের (আলফানিউমেরিক) পাসকোড।
সূত্র : গ্যাজেটস নাউ।
1 মন্তব্যসমূহ
good post.
উত্তরমুছুন